শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ : সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর আশ্বাসে প্রত্যাহার

লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ : সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর আশ্বাসে প্রত্যাহার

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার খলিল নামে এক শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় জনতা। আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টা ৪০মিনিট থেকে কালীগঞ্জ বাসষ্টান্ড এলাকায় খলিলের লাশ নিয়ে প্রায় ৩ঘন্টা জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করে কয়েক শত বিক্ষোভকারী। এ সময় খলিলের মৃত্যুর জন্য উত্তর বাংলা কলেজের প্রভাষক এস তাবাসসুম রায়হান মুস্তাযীর তামান্নাকে দায়ীকে তাকে গ্রেফতার এবং কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের প্রত্যাহারের দাবী করা হয়। দুপুর ১২টা ৪৫মিনিটে অবরোধ স্থলে আসেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি। তিনি অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করলেও অবরোধ প্রত্যাহার করেনি বিক্ষোভকারীরা। এ সময় মন্ত্রী প্রায় ৪৫মিনিট অবরোধস্থলে অবস্থান করেন। অবরোধের কারণে সড়কের দু’পাশে শত শত যান বাহন আটকা পড়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, কালীগঞ্জ কাশিরাম এলাকার বাসিন্দা ও কাকিনা উত্তর বাংলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক এস তাবাসসুম রায়হান মুস্তাযীর তামান্না ওই এলাকায় স্থানীয় লোকজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানী করে আসছে। সম্প্রতি সময় তার দায়ের করা মামলায় লালমনিরহাটে আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে গতকাল সোমবার (২৬ অক্টোবর) মারা যায় খলিল নামে এক শ্রমিক। অভিযোগ উঠে, ওই শ্রমিক খলিলকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ওই প্রভাষক তামান্না। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাষক এস তাবাসসুম রায়হান মুস্তাযীর তামান্নাকে এসব কাজে সহযোগিতা করে আসছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন।

 

এসব ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে কালীগঞ্জে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি’র বাসার সামনে খলিলের লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন কয়েক শত বিক্ষুপ্তজনতা। অবরোধ থেকে দাবী তোলা হয়, ওই কলেজ প্রভাষক এস তাবাসসুম রায়হান মুস্তাযীর তামান্নাকে গ্রেফতার, কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেনকে প্রত্যাহার ও স্থানীয়দের বিরুদ্ধে তামান্নার দায়ের করা সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

 

অবরোধস্থলে প্রথমে এসিল্যান্ড জাহাঙ্গীর আলম পরে ইউএনও রবিউল হাসান আসেন। তারা অবরোধ তুলতে ব্যর্থ হলে সব শেষ ১২টা ৪৫মিনিটে অবরোধস্থলে আসেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি। এ সময় মন্ত্রী প্রায় ৪৫মিনিট অবরোধস্থলে অবস্থান করেন। প্রথমে অবরোধকারীরা মন্ত্রীকে ফিরে দিলেও পরে দুপুর ১টা ৩০মিনিটে মন্ত্রীর আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুপ্তজনতা।

 

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone